
মাত্র চার মাস আগে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেছে। শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সাধারণ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
তিনি জানান, কিছু সংশোধনীর পর খসড়া গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আগামী কাউন্সিলের আগে প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটি এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারা দেশের কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং তারা সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তারা দলের রাজনৈতিক পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
‘ন্যাশনাল কাউন্সিল’ এর ভোটে নির্বাচিত ১১ জন এবং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মনোনীত ২ জন মিলে ১১ থেকে ১৫ সদস্যের একটি রাজনৈতিক পরিষদ গঠিত হবে, যেখানে ন্যূনতম ৩ জন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এ রাজনৈতিক পরিষদই দলের প্রধান নীতিনির্ধারণী দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং প্রয়োজনীয় সাধারণ সদস্যদের নিয়ে। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদকাল তিন বছর এবং এ সময়সীমা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন আবেদন করতে আগামী রবিবারের মধ্যে সময়সীমা শেষ হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিবন্ধন আবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং জহিরুল ইসলামকে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন এবং যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতসহ শীর্ষ নেতারা।