
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে চেয়ারম্যান করার আলোচনার মধ্যে এই কর্মসূচিতে "বহিরাগতরা" অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শুরুর আগে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে এক পক্ষ জোবায়দুর রহমানের অপসারণ দাবি করে, অন্যদিকে আরেক পক্ষ তাকে চেয়ারম্যান করার দাবিতে মিছিল করে।
বিরোধের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে মতিঝিল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশের অনুরোধে উভয় পক্ষই সরে গেলে বেলা আড়াইটায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল-মাসুদ জানিয়েছেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে ঐক্য রয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা সবাই বহিরাগত। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২২ আগস্ট সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছিল।
ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, গত মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে পরিচালক নিয়োগের পর আগের অনিয়মে সম্পৃক্ত অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। এ কারণে একটি পক্ষ তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের পর্ষদ সভা থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমত, নতুন করে দুটি অডিট ফার্ম নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত আগস্টের মধ্যে বার্ষিক রিপোর্ট চূড়ান্ত করবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংকটির আরডিএস প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতি বছর একটি অংশকে মূল ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তর করা হবে। এই নিয়মটি একসময় প্রচলিত থাকলেও ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটি অধিগ্রহণের পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।