
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি রাজনৈতিক ট্যাগ থাকেই — হয় সাদা দল, না হয় নীল বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। তবে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে সততা, যোগ্যতা ও গবেষণার সাইটেশন সংখ্যা গুরুত্ব দিয়েই প্রার্থী বাছাই করেছিলেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে উপাচার্য পদের জন্য প্রার্থী খুঁজতে রাজনৈতিক অনুগততা নয়, ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও সুনামের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ তো হওয়া যাবে না, তবে মৃদু বা নিষ্ক্রিয় বিএনপি হতে পারে। এমনকি এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেও হাসাহাসি হয়েছিল — ‘উপদেষ্টা তো আমাদের লোক নেন না!’” অনেক বিএনপি নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন যে তাদের দল থেকে কেবল নিষ্ক্রিয় বিএনপিপন্থীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, উপাচার্য নিয়োগ একটি কঠিন কাজ ছিল, কারণ রাজনৈতিক দল না থাকার কারণে অনেক ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন না। তিনি বন্ধু ও পরিচিতদের সহযোগিতায় প্রার্থী খুঁজেছিলেন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “আমি মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ করেছি যেন তিনি বন্ধু হিসেবে শিক্ষা খাত এবং প্রশাসনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের একটি তালিকা দেন। তার জবাব ছিল — ‘আমাদের মধ্যে বিগত ১৫ বছরে অনেকেই উঠে আসেনি, আমি কীভাবে বুঝব কে সৎ বা দক্ষ?’”
পরিকল্পনা উপদেষ্টা আরও জানান, দায়িত্ব শেষ করে বিদায় নেওয়ার আগে তারা একটি তালিকা করে যেতে চান যেন পরবর্তী সরকার তা উদাহরণ হিসেবে নিতে পারে এবং প্রয়োজনমতো তা থেকে বিচ্যুত হলে তা সবার নজরে আসে।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।