
ত্বক উজ্জ্বল ও চুল স্বাস্থ্যবান রাখতে যে উপাদানটি সবচেয়ে সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তা হলো ভাতের মাড়। এক সময় জাপানের রমণীরা রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করতেন, এখন তা বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্য সচেতনদের প্রিয় উপকরণ। সহজলভ্য এই উপাদানটি ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ কার্যকর, আর এটি বানানোও একদম সহজ।
কীভাবে তৈরি করবেন?
১. আধা কাপ চাল দুই কাপ পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ছেঁকে নিন।
২. একই পানি ২৪-৪৮ ঘণ্টা রেখে ফার্মেন্টেড করে ব্যবহার করতে পারেন—গন্ধে বুঝবেন এটি প্রস্তুত।
৩. চাল সেদ্ধ করে অতিরিক্ত যে পানি ফেলে দিই, সেটিই ভাতের মাড়—ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করুন।
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়
-
এটি ভিটামিন বি, সি ও ই সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বক উজ্জ্বল করে, দাগ কমায়।
-
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় বয়সের ছাপ রোধ করে ত্বককে রাখে প্রাণবন্ত।
-
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বক রাখে কোমল ও পুষ্ট।
-
ত্বকের ফোলা ভাব বা র্যাশ কমায় এবং ব্রণ রোধে সহায়ক।
ব্যবহার পদ্ধতি
-
টোনার: তুলায় নিয়ে মুখে মাড় লাগান।
-
ফেস মাস্ক: চালের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করুন।
-
ক্লিনজার: মুখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
চুলের যত্নে ভাতের মাড়
-
এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুল শক্তিশালী করে এবং ভাঙা চুল প্রতিরোধ করে।
-
চুল করে তোলে সিল্কি ও ঝলমলে।
-
ফার্মেন্টেড পানিতে থাকা ইনোসিটল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
-
খুশকি দূর করে ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতি
-
কন্ডিশনার: শ্যাম্পুর পর মাড় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
-
হেয়ার মাস্ক: অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে মাড় মিশিয়ে চুলে লাগান।
-
লিভ-ইন কন্ডিশনার: পরিষ্কার চুলে বের হওয়ার আগে মাড় স্প্রে করুন।