
বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম—ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা ইনস্টাগ্রামে ত্বকের যত্ন নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা টিপস ও ভিডিও। অনেকে দাবি করেন, ঘরোয়া উপাদানে তারকাদের মতো উজ্জ্বল ত্বক সম্ভব। কিন্তু এই সব উপদেশ অন্ধভাবে অনুসরণ করলে উপকারের বদলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। কারণ কিছু সাধারণ উপাদান আছে, যেগুলো মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে, লোমকূপ বন্ধ হয়ে চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিচে তেমনই কিছু উপাদানের বিষয়ে সতর্ক করা হলো।
বেকিং সোডা:
ব্রণের সমস্যা কমাতে অনেকে বেকিং সোডা ব্যবহার করেন, কিন্তু এটি ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট করে এবং ক্ষারধর্মী হওয়ায় মুখে জ্বালাভাব সৃষ্টি করে।
নারিকেল তেল:
যদিও চুলের জন্য ভালো, মুখে সরাসরি ব্যবহারে নারিকেল তেল লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। এতে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। তবে এটি এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে সীমিতভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেয়োনিজ:
চুলে প্রয়োগ করা গেলেও মুখে মেয়োনিজ ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এটি ত্বকে র্যাশ, অ্যালার্জি ও অতিরিক্ত শুষ্কতা তৈরি করতে পারে।
লেবুর রস:
লেবুতে থাকা অ্যাসিড মুখে সরাসরি ব্যবহারে ত্বক পুড়িয়ে ফেলতে পারে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে ক্ষতি করে।
বডি লোশন:
শরীরের জন্য তৈরি এই লোশন মুখের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে থাকা ভারী উপাদান লোমকূপ বন্ধ করে ত্বকে তৈলাক্তভাব, অ্যালার্জি ও ব্রণ তৈরি করে।
চিনি:
চিনি দিয়ে স্ক্রাব তৈরি জনপ্রিয় হলেও মুখে এর ব্যবহার ত্বকে সূক্ষ্ম ক্ষত সৃষ্টি করে। এতে জ্বালাভাব ও কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারে।
অ্যালকোহল:
সামাজিক মাধ্যমে অ্যালকোহলযুক্ত প্রসাধনী বা ওয়াইন ব্যবহারের পরামর্শ ছড়ালেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো ব্যবহার বিপজ্জনক। এতে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
প্রাকৃতিক উপাদানে রূপচর্চা ভালো, তবে তা হতে হবে জ্ঞান ও চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে। কারণ সব ত্বকের ধরন এক নয়, তাই সবার ক্ষেত্রেই একই উপাদান নিরাপদ হবে—এমনটা ভাবা ভুল। ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে হলে সচেতন ব্যবহারই সবচেয়ে জরুরি।