
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে লিভার। একে সাইলেন্ট ওয়ার্কার বলা হয়ে থাকে। এটি কোনো শব্দ না করেই দিন-রাত কাজ করে। রক্ত পরিষ্কার, হজম থেকে শুরু করে বিপাক পর্যন্ত প্রতিটি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার।
অবাক করার বিষয় হলো, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপস্থিত কিছু খুব সাধারণ জিনিস ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করছে।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, আমাদের চারপাশের কিছু জিনিস, যা আমরা প্রায়শই ব্যবহার করি বা যার সংস্পর্শে আমরা প্রতিদিন আসি, সেগুলো লিভারের জন্য বিষ হয়ে উঠছে। কী সেগুলো, জেনে নিন—
ড্রাই ক্লিনিংয়ে ব্যবহৃত দ্রাবক
ড্রাই-ক্লিন করা পোশাক দেখতে পরিষ্কার এবং চকচকে। কিন্তু এই পোশাক পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত দ্রাবক, বিশেষ করে পারক্লোরোইথিলিন, লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে।
এটি একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা পোশাক থেকে বের হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই দ্রাবকের দীর্ঘক্ষণ সংস্পর্শে থাকলে লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
কীটনাশক
ফল, শাক-সবজি বা ঘরের গাছপালায় ব্যবহৃত কীটনাশক পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু এগুলো মানুষের জন্য বিষ হতে পারে।
যখন আমরা ফল ও শাক-সবজি সঠিকভাবে না ধুয়ে খাই অথবা স্প্রে করা এই কীটনাশক শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি, তখন এই রাসায়নিক সরাসরি লিভারের ওপর প্রভাব ফেলে। লিভার এই বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বিষমুক্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্রমাগত সংস্পর্শে এলে লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে এবং এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
কসমেটিক প্রোডাক্ট
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত ফাউন্ডেশন, ক্রিম, পারফিউম এবং চুলের রঙের মতো সৌন্দর্য পণ্যগুলোতে প্রায়শই প্যারাবেন, ফর্মালডিহাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক থাকে, যা ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই বিষাক্ত পদার্থগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য লিভার দায়ী।
কিন্তু যখন রাসায়নিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তখন লিভার চাপের মধ্যে পড়ে এবং ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে শুরু করে।
সূত্র : এবিপি লাইভ