
গত মে মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কিছুটা গতিময়তা অর্জন করেছে। কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শক্তিশালী অগ্রগতি এই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। তবে একই সময়ে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি নির্মাণ খাতে, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের পথকে কিছুটা সীমিত করেছে।
বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)-এর মে মাসের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ এই সূচকটি মাসভিত্তিকভাবে প্রকাশ করে থাকে।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও সিইও মাসরুর রিয়াজ বলেন, “রপ্তানিনির্ভর উৎপাদন খাতের গতি এবং ঈদকে ঘিরে কৃষি ও এর সরবরাহ ব্যবস্থায় অগ্রগতির ফলে অর্থনীতি সম্প্রসারণমুখী। একমাত্র নির্মাণ খাতই এ গতি থেকে পিছিয়ে আছে।”
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মে মাসে পিএমআই সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯–এ, যা একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের ইঙ্গিত। কৃষি খাত টানা অষ্টম মাসে এবং উৎপাদন খাত টানা নবম মাসে আগের চেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণ করেছে। সেবা খাতও টানা অষ্টম মাসে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, নতুন ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের সূচক আবার সংকোচনে ফিরে গেছে। আর নির্মাণ খাত টানা ষষ্ঠ মাসে স্থবির অবস্থায় রয়েছে—গত মাসের তুলনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সামগ্রিকভাবে মে মাসের চিত্র একটি ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে, তবে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য নির্মাণ ও কর্মসংস্থান খাতে গতি ফেরানো জরুরি।