
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে আটকে থাকা আমানত দ্রুত ফেরতের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যক্তি-আমানতকারী ফোরাম। পাশাপাশি পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে লুট হওয়া অর্থ উদ্ধারেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো উপস্থাপন করেন ফোরামের সমন্বয়ক তাসদিক আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের আগে একটি সুস্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা শেয়ার কিনে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লুটপাট শুরু করেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪৭০ জন ব্যক্তি-আমানতকারী, যাঁদের অনেকেরই এক কোটি টাকার বেশি আমানত আটকে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমও এই দুর্নীতিতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। ফলে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও আমানতকারীরা তাদের অর্থ ফেরত পাননি। বক্তারা জানান, তারা আট মাস ধরে বর্তমান গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
ফোরামের নেতারা বলেন, ভারতে আটক পি কে হালদার জানেন লুট হওয়া টাকা কোথায় গেছে। তাই তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আইনি জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে টাকা উদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে। একইসঙ্গে, ব্যক্তি আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে অর্থ ফেরতের বিষয়টিকে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
তারা আরও বলেন, ব্যাংক খাতের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের সংস্কারে এখনই উদ্যোগ না নিলে সাধারণ আমানতকারীদের আস্থা চিরতরে হারিয়ে যাবে। এ সময় ফোরামের সভাপতি বাদল নন্দী, আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কামালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পি কে হালদার হাল ইন্টারন্যাশনাল, বিআর ইন্টারন্যাশনাল, নেচার এন্টারপ্রাইজ ও নিউ টেক এন্টারপ্রাইজ নামের চার কোম্পানির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন। এরপর ৩৪টি হিসাবে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়। এসব অর্থ লোপাটের দায় এখন বইতে হচ্ছে সাধারণ আমানতকারীদের।