ঢাকা   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

কাশিয়ানিতে টেন্ডার ছাড়াই স্কুল ঘর বিক্রি

কাশিয়ানিতে টেন্ডার ছাড়াই স্কুল ঘর বিক্রি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নিলাম বা টেন্ডার ছাড়াই একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ঘর ও আসবাবপত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানারা সুলতানা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। 

অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত টিনের চৌচালা ঘর এবং লোহার বেঞ্চ-দরজা টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘরটি বিক্রির সময় কোনো টেন্ডার আহ্বান ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো বিজ্ঞপ্তি বা মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানারা সুলতানা যোগসাজশ করে ঘরটি বাজার দামের চেয়ে কম দামে মাত্র ১৩ হাজার ৫ শ’ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর।  

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, অভিভাবক পলাশী বেগম বলেন, ‘স্কুলের ঘর বা মালামাল বিক্রি করতে হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু আমরা কিছুই জানতে পারিনি। একদিন হঠাৎ দেখি স্কুলের ঘর ভেঙে এবং ঘরের মধ্যে থাকা মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসি-ইউএনওর স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ 

এ বিষয় জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা সুলতানা বলেন, ‘টিও-এটিও স্যারের অনুমতি নিয়েই বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রি করার সময় এটিও (সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা) এনামুল হক স্যার উপস্থিত ছিলেন। আমি কিছু করিনি, যা করার স্যারই করেছেন।’ তবে কোনো লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।  

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক ঘর বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু ঘরের টিনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিল। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, তাই এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিক্রি করা হয়েছে।’ 

নিলাম কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’