
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পালাশবাড়ী গ্রাম থেকে শাহানারা বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত শাহানারা বেগমের স্বামী বকুল মিয়া এলাকায় একজন জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি স্ত্রী শাহানারার উপর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। এমনকি টাকা না আনায় প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
এলাকাবাসীর ধারণা, রোববার রাতেও জুয়ার টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করেন বকুল মিয়া। একপর্যায়ে শাহানারাকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহটি বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সোমবার সকালে বাঁশঝাড়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। সেসময় লাশের পা মাটি ছুঁইছুঁই করছিল। এ দৃশ্য দেখে সন্দেহ হলে এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়। পরে নিহতের স্বামী ও বড় ছেলে মরদেহটি বাঁশঝাড় থেকে নামিয়ে ঘরের বিছানায় রাখে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেয় গোবিন্দগঞ্জ পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধুর বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পিটিয়ে এবং গলাটিপে তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলানো হয়েছিলো। টাকার দাবি থেকে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, "গৃহবধুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা দাবি করা হয়েছে। তারা এজাহারো দিবেন বলে জানানো হয়েছে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসাপতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এজাহার, পুলিশি ও ময়না তদন্ত শেষে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।