
দেশের পণ্য ভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুসের ৫৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ ১৭ জুলাই। ঢাকা শহরে জুয়েলারি ব্যবসা করতে গিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে ১৯৬৬ সালের ১৭ জুলাই বাজুস প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮তে পদার্পণ করছে বাজুস। সংগঠনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫৮তম প্রতিষ্ঠা উদযাপিত হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকা সেজেছে বর্ণিল সাজে। দেশের ৬২টি সাংগঠনিক জেলাও বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে। ৪৯১টি উপজেলায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সারা দেশে ৪০ হাজার জুয়েলার্স পরিবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক মিলন মেলায় সামিল হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে জুয়েলারী শিল্প মালিকদের গৌরবোজ্জল অবদান তুলে ধরতে এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সোনায় বিনিয়োগ ভবিষ্যতের সঞ্চয়’।
এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আয়োজনে থাকছে- বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কেক কাটা, দর্শনীয় স্থানে ব্যানার ও পোষ্টার ঝুলানো, আলোক সজ্জা এবং আলোচনা সভা ইত্যাদি।
বাজুসের ৫৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারা দেশের সকল জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ক্রেতা সাধারণকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট জনাব সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন এ শিল্পের উন্নয়নে আমাদের আরো বিনিয়োগ করতে হবে এবং নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারেরও নীতি সহায়তা প্রদান করতে হবে। সরকার অনেক এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন করছে। এ শিল্পের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আশেপাশে একটা নিরাপদ জায়গা দরকার। পাশাপাশি যেসব উদ্যোক্তা জুয়েলারি কারখানা করবেন, তাদের ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স ফ্রি সুবিধা দিতে হবে। এ সুবিধা পাওয়া গেলে রপ্তানি আয়ের অন্যতম শীর্ষ খাতে পরিণত হবে জুয়েলারী শিল্প।
পরিশেষে বাজুসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দেশবাসীকে জানাতে চাই জুয়েলারি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। সরকারের নীতি সহায়তা, সঠিকভাবে উৎসাহ ও কর প্রণোদনা পেলে এ শিল্প তৈরী পোশাক শিল্পের মত দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
শেয়ার বিজনেস24.কম