ঢাকা   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভ্রমণে স্বস্তি ও নিরাপত্তায় যেসব জিনিস নেওয়া জরুরি

ভ্রমণ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ৯ জুন ২০২৫

ভ্রমণে স্বস্তি ও নিরাপত্তায় যেসব জিনিস নেওয়া জরুরি

লম্বা ছুটির ভ্রমণ আনন্দদায়ক হলেও হঠাৎ অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা তা মাটি করে দিতে পারে। তাই শুধু জামাকাপড় নয়, ভ্রমণের ব্যাগ গুছিয়ে নেওয়ার সময় স্বাস্থ্যসচেতন কিছু জিনিস নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান।

প্রথমেই নজর দিন ওষুধে। অনেকের ভ্রমণে বমির প্রবণতা থাকে—এক্ষেত্রে হায়োসিন ও অনডানসেট্রনের মতো ওষুধ সহায়তা করে। ভারী খাবারে বদহজম বা বমিভাব হলে গ্যাস্ট্রিক ও বমির ওষুধ সঙ্গে রাখুন। আবহাওয়ার পরিবর্তনে ঠান্ডা বা কাশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধও কাজে আসে। তবে শ্বাসের রোগ থাকলে ওষুধ ব্যবহারে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

দীর্ঘ যাত্রায় গরমে কাহিল হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ব্যাটারিচালিত ফ্যান ও ট্রাভেল পিলো সঙ্গে রাখুন। ঘাড়ব্যথা ও অস্বস্তি কমবে। চার ঘণ্টার বেশি বসে থাকার সময় পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে—বিশেষ করে যাঁদের বয়স বেশি বা ওজন বেশি। এদের জন্য কমপ্রেশন সকস বা বিশেষ চেপে বসা মোজা কার্যকর।

মন ও শরীরের আরাম দিতে নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন ও স্লিপ মাস্ক রাখুন। আর মশা থেকে রক্ষায় মসকিউটো রিপেল্যান্ট আনতেই হবে, বিশেষত ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার ঝুঁকির জায়গায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে।

নিজস্ব নেইলকাটার, রেজার, ট্রিমার প্রভৃতি নেওয়া সংক্রমণ এড়াতে সহায়ক। অন্যের ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার না করাই ভালো। সঙ্গে রাখুন পরিষ্কার-নোংরা পোশাক আলাদা রাখার ব্যাগ এবং চিমটা ও জীবাণুনাশক দ্রবণ। কাঁটা বা ছোট ত্বকজ সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানে এগুলো দরকারি।

সব শেষে, ব্যান্ডএইড, অ্যান্টিসেপটিক, ব্যথার ওষুধ, গজ, পোড়ার মলমসহ একটি ছোট ফার্স্টএইড কিট রাখুন ব্যাগে। তা শুধু নিজের না, অনেক সময় অন্যের উপকারেও আসতে পারে।
স্মার্ট ভ্রমণ মানেই প্রস্তুত থাকা—স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও।