বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে—আগুনে পোড়া নোট আর কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে বদলানো যাবে না। এই ধরনের নোটের জন্য গ্রাহককে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত অফিসে আবেদন করতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে সর্বনিম্ন আট সপ্তাহ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, প্রচলিত নোটকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত, দাবিযোগ্য এবং আগুনে পোড়া নোট। ছেঁড়া-ফাটা, ক্ষতিগ্রস্ত ও অপ্রচলনযোগ্য নোট শাখা থেকেই বিনিময় করা যাবে, তবে আগুনে পোড়া ও দাবিযোগ্য নোটের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত আবেদন প্রক্রিয়া মানা বাধ্যতামূলক।
নোটের অংশ জোড়া দিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি ‘বিল্ট-আপ’ নোট বা জাল নোট উপস্থাপন করলে জরিমানা ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, নতুন নির্দেশনার উদ্দেশ্য হলো নোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের অযথা ভোগান্তি কমানো।
























