লোকসানের পথ পেরিয়ে আবারও মুনাফার মুখ দেখল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোস পিএলসি। গত বছরের তুলনায় চলতি জুলাই–সেপ্টেম্বর সময়ে বাণিজ্যিক যানবাহনের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় কোম্পানিটি আয় ও মুনাফায় শক্ত অবস্থানে ফিরেছে। সদ্য সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইফাদ অটোসের আয় বেড়েছে প্রায় ৭৪ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রান্তিকে কোম্পানির আয় দাঁড়িয়েছে ২৭৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আয় বাড়ার ইতিবাচক প্রভাব মুনাফায়ও পড়েছে—গত বছরের একই সময়ে যেখানে ইফাদ অটোসের লোকসান ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, সেখানে এবার তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে কর-পরবর্তী ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা, যা গত বছর ছিল শেয়ারপ্রতি ২১ পয়সা লোকসান।
কোম্পানি জানায়, বাজারে বাণিজ্যিক যানবাহনের চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু আয়ে নয়, বিক্রিত ইউনিটের সংখ্যাতেও বড় পরিবর্তন এসেছে। চলতি প্রান্তিকে বিক্রি হয়েছে ১,১০১ ইউনিট যানবাহন, যেখানে গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৬৬ ইউনিট।
ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে কোম্পানি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে উদ্যোক্তা-পরিচালক ছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ৬১ পয়সা। ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর এজিএম আহ্বান করা হয়েছে এবং রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ নভেম্বর।
এর আগের ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ইফাদ অটোস বিনিয়োগকারীদের ১% ক্যাশ ও ১% বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়। ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬২ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ৫৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে প্রতি শেয়ারে নিট সম্পদমূল্য (NAVPS) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৯ পয়সা।
ইফাদ অটোস ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ২৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৯৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ২৬ কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার ৯১১টি, যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৪.৮৭%, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.০৮%, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.০২%, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৯.০৩% শেয়ার।
























