বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করা ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ শুধু জরুরি ছিল না, বরং ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে এটি এখন সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বাংলাদেশ ইসলামিক ফিন্যান্স সামিট-এ গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতের উন্নতির জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিনিয়োগকারী, আমানতকারী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া খাতটির টেকসই অগ্রগতি সম্ভব নয়। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করা ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনো কার্যকর পথ ছিল না।”
গভর্নর আরও মনে করেন, সুশাসন ও কার্যকর নজরদারি নিশ্চিত হলে এই একীভূতকরণ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এই পাঁচ দুর্বল ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে এবং প্রশাসক নিয়োগ দেয়। ব্যাংকগুলো হলো—
এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
পরবর্তীতে ৯ নভেম্বর, গভর্নর ড. আহসান মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের বিশেষ অনলাইন সভায় ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে নতুন শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ গঠন করা হয়। নতুন ব্যাংকের প্রাথমিক লাইসেন্সও প্রদান করা হয়েছে। এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন ও ব্যাংক খাতের বিশ্বাসযোগ্যতা পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়েই নেওয়া হয়েছে।
























