
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বাজার মূলধন বেশি। সংখ্যায় কম এবং অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের কোম্পানি তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও, এই বিপরীতমুখী পরিস্থিতি একটি প্রশ্ন তৈরি করেছে।
সোমবার (০৪ আগস্ট) সিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ হাজার ৩২৫ বিলিয়ন টাকা, যেখানে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ হাজার ১৪৬ বিলিয়ন টাকা।
বাজার মূলধনে তারতম্যের কি কারণ?
এই তারতম্যের প্রধান কারণ হলো বাজার মূলধন গণনার পদ্ধতি। ডিএসই যেখানে প্রধান সূচকের জন্য এটিবি এবং এসএমই বোর্ডকে আলাদা রাখে, সেখানে সিএসই তার বাজার মূলধন গণনার সময় এই দুটি বোর্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
ডিএসইর এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, আলাদা বোর্ডগুলোর বাজার মূলধন আলাদাভাবে দেখানোই হলো সর্বোত্তম অনুশীলন। কারণ বিনিয়োগকারীরা প্রধানত প্রধান বোর্ডের দিকেই নজর রাখেন।
তবে সিএসই’র এক কর্মকর্তা বলেন, বাজার মূলধন সাধারণত একটি এক্সচেঞ্জের সমস্ত তালিকাভুক্ত সিকিউরিটি বিবেচনা করে গণনা করা হয়। সব সিকিউরিটি একত্রিত করে বাজার মূল্য গণনা করা ভুল নয়।
অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা
যদি ঋণ সিকিউরিটিগুলো বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়ায় মাত্র ৩ হাজার ৬৯২ বিলিয়ন টাকা। এর ফলে বাজার মূলধন থেকে জিডিপির অনুপাত দাঁড়ায় মাত্র ৬.৫৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে আসতে অনিহা এবং শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক আগ্রহের অভাব দেশের শেয়ারবাজারকে এখনও দুর্বল করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পরও তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ৩৭০টি। অথচ এ বছরের জুন পর্যন্ত জয়েন্ট স্টক কোম্পানিগুলোর নিবন্ধকের অধীনে ২.২ লাখের বেশি প্রাইভেট এবং ৩ হাজার ৭৬৮টি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে।