ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং! তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকে চিঠি

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১৭ জুলাই ২০২৫

২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং! তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকে চিঠি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৯৬ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তে এসেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে, এই তিন কোম্পানি মার্জিন ঋণ ব্যবস্থার অপব্যবহার করে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করেছে বা এর মাধ্যমে আর্থিক অপরাধে জড়িয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রতিষ্ঠান তিনটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যাতে তারা তদন্ত চলাকালে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে এবং প্রমাণ গোপন করতে না পারে।

বিষয়টি নিয়ে বিএসইসি ১ জুলাই অনুষ্ঠিত ৯৬১তম কমিশন সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এরপর ১৪ জুলাই বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসইসির পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—প্রাইম ফাইন্যান্স ও এর দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিএফআই সিকিউরিটিজ ও প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড মার্জিন ঋণ সুবিধার মাধ্যমে ২৯৬ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, যার মধ্যে অর্থপাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়নি এবং তা অবৈধভাবে স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিএসইসি মনে করে, এসব অনিয়ম ও আর্থিক অপরাধে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এজন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রয়োজনীয় তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদনসহ বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে।