
ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে শেয়ার, ইক্যুইটি, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগের বিপরীতে যথাযথ সংস্থান (প্রভিশন) সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজারমূল্য ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম হলে বিনিয়োগজনিত ক্ষতি হিসেবে ওই পার্থক্যের সমপরিমাণ প্রভিশন রাখতে হবে। অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে নিট সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে, যা ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম হলে সেই ক্ষতির সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রেফারেন্স শেয়ার, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের পর যদি প্রাপ্য সুদ বা ডিভিডেন্ড না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ধাপে ধাপে প্রভিশন গঠন করতে হবে। প্রথম অর্থ বছরে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় অর্থ বছরে ৫০ শতাংশ এবং তৃতীয় অর্থ বছরে ১০০ শতাংশ করতে হবে।
স্বল্পমেয়াদি বন্ড/ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির পর অর্থ ফেরত না পেলে পুরো প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রাপ্য ডিভিডেন্ড ক্যাশে আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা আয় হিসেবে দেখানো যাবে না বলেও সার্কুলারে বলা হয়েছে।
নতুন এ নির্দেশনা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক থেকে কার্যকর হবে। ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর ভিত্তিতে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের হিসাব নিরীক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা কোম্পানির আর্থিক বিবরণীতে বিনিয়োগের ঝুঁকির সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করবে।