
ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর স্যাটেলাইট ছবিতে ধ্বংসের ইঙ্গিত মিললেও এর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ এ কেন্দ্র কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান থেকে ছোড়া ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ বা এমওপি বোমা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে পাহাড়ি অঞ্চলে ছয়টি বড় গর্ত তৈরি করেছে। আশপাশের মাটিও ওলটপালট হয়ে গেছে। তবে শত শত সেন্ট্রিফিউজ রাখা ভূগর্ভস্থ হলটিতে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, জানিয়েছেন কৃত্রিম উপগ্রহ বিশ্লেষক ডেকার ইভেলেথ।
জাতিসংঘের সাবেক পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইটের মতে, সরাসরি হামলায় ফর্দো স্থাপনাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার আশঙ্কা, ইরান হামলার আগে অতি-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি অজানা স্থানে সরিয়ে ফেলেছে। ম্যাক্সার টেকনোলজিসের উপগ্রহে ‘অস্বাভাবিক তৎপরতা’ও ধরা পড়েছে হামলার আগের দিনগুলোতে, যেখানে অনেকগুলো যানবাহনকে কেন্দ্রটির আশপাশে দেখা গেছে।
এদিকে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা এ ধরনের হামলাকে সহজে ক্ষমা করবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের এ আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরান যদি ভূগর্ভস্থ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ হারিয়েও থাকে, তারা নতুন কোনো স্থানে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
মার্কিন সিনেটর মার্ক কেলি সতর্ক করেছেন, “ইরান হয়তো তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম আরও গোপনে সরিয়ে নেবে, যা পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলবে।” সব মিলিয়ে, ইরানের পারমাণবিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং এর প্রভাব বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নতুন করে নাড়া দিতে পারে।