ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষকরা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরীক্ষকের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিদর্শন সম্পন্ন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
পরিদর্শনে কোম্পানির আর্থিক বিপর্যয়, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং ব্যাংক ব্যালান্স যাচাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ করে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানির ১০৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯১০ টাকা লোকসান এবং ২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫১ টাকা ঋণ পরিশোধ না করতে পারার কারণগুলো অনুসন্ধান করবে কমিটি। একই সঙ্গে প্রাইম ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে থাকা কোম্পানির আমানতও পরীক্ষা করা হবে।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৩৫ পয়সা লোকসান করেছে এবং নিট সম্পদমূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৬ পয়সায়। এ কারণে কোম্পানি এবারও বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরির একটি কোম্পানি। কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন প্রায় ১১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং শেয়ারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের হার যথাক্রমে ৭.৬৭%, ৬.২০% এবং ৮৬.১৩%।
এখন বিনিয়োগকারীদের নজর থাকবে পরিদর্শন প্রতিবেদনে কোম্পানির ভবিষ্যৎ গতিপথ কীভাবে নির্ধারণ হয়, তার ওপর।
