
অবশেষে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক বৈঠকটি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়ার ওপর থেকে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান দূর থেকে এ আলোচনায় অংশ নেন।
ট্রাম্প জানান, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে ‘একটি সুযোগ’ দিতেই এই পদক্ষেপ। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন আল-শারারের বিরুদ্ধে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তবে আল-শারার ২০১৬ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে হায়াত তাহরির আল-শাম বা HTS-এর নেতৃত্বে আসাদ পরিবারের দীর্ঘ ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি মনোনীত হন।
রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পালাবদলের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, "সিরিয়ায় একটি নতুন সরকার এসেছে। আমরা চাই তারা দেশকে স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে এগিয়ে নিক।"
এই সফরের অংশ হিসেবে ট্রাম্প উপসাগরীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেন এবং পরবর্তীতে কাতার সফরে যাবেন বলে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে। ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ছিল, যা এবার উঠে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক ভূরাজনৈতিক সমীকরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।