ঢাকা   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

হাওড় মহাপরিকল্পনা চূড়ান্তে সবার মতামত নেওয়া হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

জাতীয়

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ১ জুলাই ২০২৫

সর্বশেষ

হাওড় মহাপরিকল্পনা চূড়ান্তে সবার মতামত নেওয়া হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

   পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাওড় মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত করা হবে এবং চূড়ান্ত করার পূর্বে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ওয়েব সাইটে দেওয়ার পরে যারা আজকে কর্মশালায় আসতে পারেননি কিন্তু প্রকৃতি নিয়ে ভাবেন, পরিবেশ নিয়ে ভাবেন তাদেরকে জানাবো। স্থানীয়রা-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত পাওয়ার পরে  হাওড়ের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।  

    সোমবার ঢাকায় পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘হাওড় মহাপরিকল্পনা মূল্যায়ন ও হালনাগাদকরণের জন্য সমন্বিত সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের ফলাফলের ওপর অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 

    উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৩৭১ টি হাওড়ের সীমানা নির্ধারণ হওয়া উচিত। হাওড়গুলোতে সীমানা চিহ্নিত করে এগুলো জলাধার কেন্দ্রিক প্রাণাদার হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করব। তিনি বলেন, এক এক হাওড়ের আসলে পরিবেশগত আবেদন একেক রকম। কোনো কোনো হাওড়ে প্রচুর মাছ উৎপাদন হয়  আবার কোনো কোনো হাওড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুধু ধান আর ধান চাষ হয়। সংশ্লিষ্টদের  প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হাওড়ের মাস্টারপ্ল্যানটা বা মহাপরিকল্পনাটা আসলে সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারে সে রকম সহজ করে দিতে হবে। 

    উপদেষ্টা বলেন, হাওড় বাংলাদেশের একটা অনন্য ইকো সিস্টেম হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। তিনি বলেন, হাওড় সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটনের জন্য খুবই বিখ্যাত হয়েছে। আগে হাওড় যারা চিনতো, জানতো, তারা কিন্তু শুধু মাছের জন্য জানতো, চিনতো। এখন হাওড়ে পর্যটনের কারণে মাছের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। হাওরে পর্যটনের কারণে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার ওপর একটা প্রভাব পড়ছিল কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের আইন প্রয়োগের ফলে এটি এখন শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে । 
    উপদেষ্টা আরো বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওড় একটা গ্লোবাল হেরিটেজের সম্মান পেয়েছে। হাওড়গুলো আমাদেরকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়েছে। 
    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এ সময় জুম প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে কর্মশালায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। 

সর্বশেষ