ঢাকা   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: কুখ্যাত ফারুক গ্রেপ্তার, পলাতক নবী ও শাহ আলম

গ্রামবাংলা

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০১:২০, ১ জুলাই ২০২৫

সর্বশেষ

র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: কুখ্যাত ফারুক গ্রেপ্তার, পলাতক নবী ও শাহ আলম

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যতম সদস্য মো. জায়েদ হোসেন ফারুক (২২)–কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে। ফারুকের কাছ থেকে র‌্যাবের পোশাক, একটি ভুয়া আইডি কার্ড, অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে বহিষ্কৃত সেনা সদস্য সুমন মুন্সী, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন এবং কুখ্যাত ডাকাত শাহ আলম। তারা পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ-ডাকাতি চক্রের মূল হোতা।

গত ১১ জুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাফিজ উল্লাহ নামের এক যুবককে অপহরণ করে চক্রটি। পরে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহরণের পরপরই র‌্যাব অভিযান শুরু করে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত সৈনিক সুমন, আফ্রিদি, আব্দুল গফুর, ডাকাত শিকদার এবং সর্বশেষ ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে র‌্যাবের ইউনিফর্ম, অস্ত্র, ওয়াকিটকি ও গুলি।

র‌্যাব জানিয়েছে, র‌্যাবের পোশাকগুলো সুমন মুন্সী কয়েক বছর আগে মিরপুরের একটি মার্কেট থেকে তৈরি করিয়েছিল। এসব ইউনিফর্ম পরে চক্রটি র‌্যাব পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়। এটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এ বিষয়ে দেশের সকল পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ চক্রের দুই মূল নেতা, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও ডাকাত শাহ আলম এখনো পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

র‌্যাব ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় বছরে টেকনাফে পাহাড়কেন্দ্রিক এই চক্র ২৫৬ জনকে অপহরণ করেছে। অপহরণের পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও অন্যান্য অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।

এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অপহরণ ও মানবপাচারের ২৫ থেকে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ