
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্প্রতি বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলেই কেবল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা বলছেন অনেক মামলা আছে, কিছু মামলার তদন্তও হয়নি। তদন্ত শেষে যিনি দোষী হবেন, তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। নির্দোষদের যেন কোনো অবস্থায় সাজা না হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, কিশোরগঞ্জে করা মামলাগুলোর বিষয়ে তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত শেষে তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষী হলে আইনি পদক্ষেপ, না হলে যাঁরা অভিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে দেশে ফেরেন আবদুল হামিদ। প্রায় এক মাস আগে, ৭ মে রাতে তিনি বিদেশে যান। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির অভিযোগে দায়ের করা কিশোরগঞ্জের একটি মামলায় নাম রয়েছে। মামলার আসামিদের তালিকায় আরও আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১২৪ জন।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানা ঘুরে দেখার সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থানার হাজতখানা, নারী ও শিশু ডেস্কসহ বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ঈদুল আজহায় সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করেছে, কোনো বড় অঘটন ঘটেনি।”
সরকার ইতোমধ্যেই আবদুল হামিদের বিদেশ যাত্রা ঘিরে কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কী নির্দেশ করে এবং রাষ্ট্রের সাবেক সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন কতটা নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ হয়।