
শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, শ্বেতপত্রে প্রস্তাবিত শিক্ষাবিষয়ক প্রস্তাবগুলো যথাসম্ভব এগিয়ে নেওয়া হবে। শ্বেতপত্র থেকে পাওয়া প্রস্তাবগুলো থেকে আলোচনার মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো অল্প সময়ের মধ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়ে উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির বিষয়গুলো ছাড়াও প্রতিনিয়ত নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রায়ই কোনো না কোনো ইস্যু তৈরি হচ্ছে, ইস্যুগুলো সমাধান করতে হবে।
সি আর আবরার বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ইন্ডাস্ট্রির মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামতগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইন্ডাস্ট্রিগুলো আমাদের কোর্সগুলো তাদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তাদের প্রশিক্ষণের সময় বেঁচে যাবে বলে মতামত ব্যক্ত করেছে। আমরা এগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি মানসম্মত শিক্ষা, শ্রমবাজারের সঙ্গে দক্ষ শ্রমিক তৈরি, সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই বিনিয়োগ বাড়ানো, কারিগরি শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষায় মনোযোগ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রস্তাব দিয়েছে।