ঢাকা   সোমবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

পুঁজিবাজারের ৫ খবরের যেকোনোটিতে বদলে দিতে পারে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারের ৫ খবরের যেকোনোটিতে বদলে দিতে পারে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত

অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ার দর তদন্তের নির্দেশ

বেশ কয়েকদিন যাবত অব্যাহতভাবে বেড়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ারের দর। শেয়ারের দর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি ডিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসারকে (সিআরও) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, ডিএসইর সিআরওকে বিষয়টি অনুসন্ধান করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসিকে জানাতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে কারা কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছে, তা বিএসইসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৭০ টাকা বা ২২.৯৮ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৩.৫০ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ৪১.২০ টাকা। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দর বাড়ার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২৫ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭.০৪ শতাংশ। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।

দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে সাত শেয়ার

গত দুই বছরের বেশি সময় যাবত দেশের শেয়ারবাজার মন্দা প্রবণতার বৃত্তে আটকে রয়েছে। এ সময়ে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে খালি হাতে বাড়ী ফিরে গেছেন। যারা রয়েছেন, তারাও বড় লোকসানের মধ্যে হাঁসফাঁস করছেন।

আলোচ্য দুই বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৪২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দামই এখন তলানিতে রয়েছে। এরমধ্যে ৭টি কোম্পানির দাম গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া, আরও অন্তত চার ডজন কোম্পানির শেয়ার সর্বনিম্ন দামের কিনারে লেনদেন হচ্ছে। স্টকনাও সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যে সাত কোম্পানির শেয়ার গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হচ্ছে, সেগুলো হলো-চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট, এমএল ডাইং, পিপলস লিজিং-পিএলএফএস, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রানার অটো ও উত্তরা ফাইন্যান্স।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে চার্টার্ড লাইফ, এমএল ডাইং ও মেঘনা লাইফ ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার।

অন্যদিকে, মেঘনা পেট, পিপলস লিজিং-পিএলএফএস, প্রাইম লাইফ, রানার অটো ও উত্তরা ফাইন্যান্স ‘জেড’ক্যাটাগরির শেয়ার। এরমধ্যে রানার অটো বিদায়ী সপ্তাহে ‘জেড’ক্যাটাগরিতে যুক্ত হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ শেয়ার গত দুই বছরের সর্বোচ্চ দামের দুই-তিন ভাগ কমে বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে। এরমধ্যে বেশি দাম কমেছে রানার অটো, উত্তরা ফাইন্যান্স ও এমএল ডাইংয়ের।

দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে দুই শেয়ার

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গত দুই বছরের মধ্যে ২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কোম্পানি দুটি হলো-অগ্নি সিস্টেম ও মিডল্যান্ড ব্যাংক।
স্টকনাও সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অগ্নি সিস্টেম

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বুধবার অগ্নি সিস্টেমের ক্লোজিং দর হয়েছে ৪১ টাকা ২০ পয়সায়। এদিন কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে। এদিন শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৭৯ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৯টি শেয়ার। যার বাজার মূল্য ছিল ৩১ কোটি ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর ছিল গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বা তিন প্রান্তিকে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৬ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৪.৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা।

মিডল্যান্ড ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বুধবার মিডল্যান্ড ব্যাংকের ক্লোজিং দর হয়েছে ৩০ টাকা ৮০ পয়সায়। এদিন কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এদিন শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৮৩টি শেয়ার। যার বাজার মূল্য ছিল ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
সর্বশেষ শেয়ারটির দর কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ। এটি ২০২৩ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বা দুই প্রান্তিকে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৬ পয়সা।

২০২৩ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা।

আর্থিক খাতে ১০ কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১০টি কোম্পানির। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১২টির। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে একটির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগ বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি হলো-বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়ার ফাইন্যান্স (বিআইএফসি), জিএসপি ফাইন্যান্স, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, মাইডাস ফাইন্যান্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।

বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৭.২৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৫২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৫৩.১৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫২.৮৪ শতাংশে।

বিআইএফসি

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪৩.২১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.২২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৮.৪৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৩ শতাংশে।

জিএসপি ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৯.০৫ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.২৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৬.৫১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৩০ শতাংশে।

আইসিবি

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১.৯১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৯৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১.৬০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫৭ শতাংশে।

আইডিএলসি

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৮.৪৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৫৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৩.৭০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৫৯ শতাংশে।

আইপিডিসি

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৩.৫৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ৭.৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৩৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৬.৪৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৬৪ শতাংশে।

ইসলামিক ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৭৯ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৯৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৩.৩৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪২.২১ শতাংশে।

মাইডাস ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৬.৩৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৩২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৭০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৪.৫৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.২১ শতাংশে।

ফনিক্স ফাইন্যান্স 

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৮৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.১৮ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৭.৯৫ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭.৬৫ শতাংশে।

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৮.১৭ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৭৩.০৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৮৫ শতাংশে।


আর্থিক খাতের ১২ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১২টি কোম্পানির। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১০টির। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে একটির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগ কমে যাওয়া ১২ কোম্পানি হলো-বিডি ফাইন্যান্স, ডিবিএইচ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স এবং উত্তরা ফাইন্যান্স।

বিডি ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৫.০৫ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৮২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৫৪.৪৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৬৭ শতাংশে।

ডিবিএইচ

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৭.৭০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৫০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৭.২০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৭.২৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৫১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৭৫ শতাংশে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৫.৫৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.২৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৪.৭৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.০২ শতাংশে।

ফাস ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৮.২১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১৩ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৭৮.৫৯ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮.৬৭ শতাংশে।

ফার্স্ট ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৫১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৩৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৮.১৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৩৫ শতাংশে।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৪.১৭ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ১.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.০২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪১.৭০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ৩.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৯৩ শতাংশে।

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১১.১৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১.১৫ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৮.৯৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৯৪ শতাংশে।

প্রিমিয়ার লিজিং

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৩৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.১১ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৫০.৫৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ২.৯১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩.৪৪ শতাংশে।

প্রাইম ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৮.২০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩২.৬৫ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৮৭ শতাংশে।

ইউনিয়ন ক্যাপিটাল

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.১৯ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৭৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৬.৮১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.২৩ শতাংশে।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৩৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৯২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৪৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৮.২০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৯২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.১২ শতাংশে।

উত্তরা ফাইন্যান্স

আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩২.৪৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২.৪৫ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৯.২৮ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ২.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.২৯ শতাংশে।

১০ খাতের বিনিয়োগকারীদের লোকসান আরও বেড়েছে

বিদায়ী সপ্তাহে (০৬ -০৯ অক্টোবর) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ২০ খাতে। এর ফলে খাতগুলোর বিনিয়োগকারীদের লোকসানে আরও বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্রকৌশল খাতের শেয়ারে। এখাতের শেয়ারে দর কমেছে ২.৯০ শতাংশ।

এরপর দর কমেছে পাট খাতের শেয়ারে। এখাতের শেয়ারে দর কমেছে ২.৭০ শতাংশ।

সাপ্তাহিক ব্যবধানে দর কমার তৃতীয় খাত হলো সেবা ও আবাসন খাত। এখাতের শেয়ারে দর কমেছে ২.৬০ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে লোকসান হওয়া অন্য ৭ খাতের মধ্যে- জীবন বিমায় ১.৮৮ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ১.৮০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ০.৭০ শতাংশ, চামড়া খাতে ০.৬০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.৪০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ০.১০ শতাংশ এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.১০ শতাংশ দর কমেছে।

 

 

শেয়ার বিজনেস24.কম