
আমাদের আইন মেনে, নিয়মের মধ্যে থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। ভালো কাজ করলে বিনিময়ে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপত্তা শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের জন্য এক কর্মশালায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (২১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের ‘কার্যকর নিরাপত্তার জন্য দক্ষতা তৈরি এবং করণীয় ও বর্জনীয়’ বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।
রিসোর্স পারসন হিসেবে কর্মশালাটি পরিচালনা করেন উপ-উপাচার্য এবং পাবনার জেল সুপার মো. ওমর ফারুক। কর্মশালায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হলসমূহের প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিজের বিবেককে কাজে লাগানো এবং বিবেককে প্রশ্ন করতে হবে। আমি কি করব এবং কি করবনা। এ সম্পর্কে জানতে হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং আইন মেনে বিধি-বিধানের আলোকে কাজ করতে হবে। ভালো কাজ করলে পুরস্কৃত হওয়ারও সুযোগ থাকবে। সবসময় আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে হবে।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, ‘একজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে আচার-আচরণ ও শৃঙ্খলাবোধ থাকতে হবে। তাকে ভদ্রোচিত ও সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। ড্রেসকোড খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ড্রেসকোডের মাধ্যমেই একজন নিরাপত্তাকর্মীকে চিহ্নিত করা যায়। এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’
সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা।
সঞ্চজালনায় ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আসফাকুর রহমান। আইকিউএসি’র উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত চলে। কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।