
বুধবার রাত দশটায় রাউজানের নিজ বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ার দূর্গম পশ্চিম লুঙ্গিপাড়া থেকে মো: দিদার আলম প্রকাশ রিংকু (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ।
নিহত দিদার আলম রাউজান উপজেলার কদলপুর কবীর আহমেদ মিয়াজির বাড়ীর মৃত জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় মামলা হয়েছে। লাশ পোষ্টমর্টেমের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার জানান,গত বুধবার দিদার আলম প্রকাশ রিংকু(৩০) রাত আনুমানিক দশটার সময় নিজবাড়ী রাউজান উপজেলার কদলপুর এলাকা থেকে বের হন। পাশে এক আতœীয়ের বাড়ীতে মেজবানের দাওয়াত খেতে যান। তখন স্ত্রীকে ফোনে জানায় মোবাইল বন্ধ থাকলে যেন কোন চিন্তা না করে রাতেই বাসায় ফিরে আসবে। নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার আরো জানান রাতে তার স্বামী বাসায় না ফিরলে সকালে নিহতের বড়ভাইকে বলে যে দিদার আলম রাতে বাসায় ফেরেনি একটু খোজ নিয়ে দেখুন কোথায় আছে। পড়ে কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ার লুঙ্গিপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা অজ্ঞাতনামা একটি লাশ দেখতে পেলে কাউখালী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে আসে।
রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ও নিহতের ফুফাতো ভাই মো সৈয়দ জানান রাউজান থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী ও অন্যান্য আতœীয় স্বজনরা কাউখালীতে এসে লাশ সনাক্ত করা হয়।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার জানান তার স্বামী দিদার আলম প্রকাশ রিংকু(৩০) পূর্বে সিএনজি অটোরিকসা চালাতো। কিছুদিন পূর্বে ষ্ট্রোক করায় আর সিএনজি চালায় না দৈনিক দিন মজুরী কাজ করে সংসার চালায়। তাদের সংসারে ৮ ও ১১ বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতে চিহৃ পরিলক্ষিত হয়নি। এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ পোষ্টমর্টেমের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেমের রিপোট পাওয়ার পর প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।