ঢাকা   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

গোয়ালন্দে খেলার মাঠ রক্ষা করলেন ইউএনও নাহিদুর রহমান

গ্রামবাংলা

মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ১২ জুলাই ২০২৫

গোয়ালন্দে খেলার মাঠ রক্ষা করলেন ইউএনও নাহিদুর রহমান

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমানের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল ফুটবল খেলার মাঠ। ঐতিহ্যবাহী  গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন ৮ বিঘা জমির মাঠটি অনেকটা গোপনে বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।  কিন্তু স্হানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন ইউএনও। ৯ জুলাই বুধবার ইউএনও নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে,  উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ডাইভারসন ইটভাটা এলাকায় গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ৮ বিঘা জমি রয়েছে। বর্গাকৃতির উঁচু ওই জমিটা কৃষি ফসলের জন্য উর্বর হলেও বহু বছর ধরে কাউকে বন্দোবস্ত না দেয়ায় তা খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে স্হানীয় যুবকরা।

চলতি বছরের জুনে জমিটি বাৎসরিক বন্দোবস্ত দেয়ার উদ্যোগ নেন সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক আরজু জাহান। সে অনুযায়ী গত ২৫ জুন ৬ জন ব্যাক্তি আগ্রহ দেখিয়ে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে রেজাউল করিম মৃধা নামে একজন সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা দর ঘোষণা করেন। কিন্তু বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া গোপনে, বিনা মাইকিংয়ে এবং অস্বচ্ছভাবে হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোলাম মুনতাহা রাতুল নামে এক ব্যাক্তি।

এমতাবস্থায় অনুসন্ধান শেষে ইউএনও নাহিদুর রহমান বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষনা করে তা স্হানীয় যুব সমাজের খেলাধুলার জন্য বরাবরের মতোই ব্যবহারের নির্দেশ দেন।

আলাপকালে গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, জমির লিজ মূল্য সন্তোষজনক হয় নি। তাছাড়া সেখানে এলাকার যুবকরা খেলাধুলা করে বলে ইউএনও স্যার বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বন্দোবস্তের বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতেই সকল কাজ করা হচ্ছিল বলে তিনি দাবি করেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান জানান , স্কুলের জমি বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে তার সাথে কোন ধরনের আলোচনা করেনি। তাছাড়া মাত্র ২০ হাজার টাকায় ৮ বিঘা জমির বন্দোবস্ত দিয়ে যুবকদের খেলাধুলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। এমনিতেই বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই। তাই তাদের কথা চিন্তা করে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাজির উদ্দিন হাইস্কুলের মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ওই এলাকার যুবকরা। মাঠটির লিজ বাতিল করায় আমরা ইউএনও নাহিদুর রহমান স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।