
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ৩০টি কোম্পানি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) এবং একটি কোম্পানি প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (NOCFPS) বেড়েছে, অপরদিকে ১৬টির কমেছে। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যেসব কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে:
একমি ল্যাবরেটরিজ:
তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ৭.৭৯ টাকা, আগের বছর যা ছিল ৫.৭৭ টাকা।
বিকন ফার্মা:
এ প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫.৪৫ টাকা। গত বছর ছিল মাইনাস ৭.৮০ টাকা, অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়িয়েছে কোম্পানিটি।
সেন্ট্রাল ফার্মা:
চলতি প্রান্তিকে ১ পয়সা ক্যাশ ফ্লো হলেও গত বছর কোনো ক্যাশ ফ্লো ছিল না।
ইবনেসিনা:
উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে; গত বছরের ১৫.৫০ টাকা থেকে বেড়ে এবার ২৬.১৬ টাকায় পৌঁছেছে ক্যাশ ফ্লো।
কোহিনুর কেমিক্যাল:
এবার ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৪.৯৭ টাকা, আগের বছর ছিল ২০.৬০ টাকা।
নাভানা ফার্মা:
ক্যাশ ফ্লো বেড়ে ১০.২২ টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের বছর ছিল মাত্র ১.৫৯ টাকা।
ওরিয়ন ফার্মা:
চলতি প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৫.২৭ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩.০৯ টাকা।
রেকিট বেনকিজার:
প্রথম প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ৭৯.৬৪ টাকা, আগের বছর ছিল ৬৯.২৩ টাকা।
রেনেটা:
গত বছর মাইনাস ১.৩১ টাকা ক্যাশ ফ্লো থেকে এবার বিশাল উন্নতি হয়ে হয়েছে ২১.৭৬ টাকা।
সালভো কেমিক্যাল:
ক্যাশ ফ্লো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬৮ টাকা, আগের বছর ছিল ৩.৫৭ টাকা।
সিলকো ফার্মা:
চলতি প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো ৭১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৬৮ পয়সা।
সিলভা ফার্মা:
গত বছরের ২৪ পয়সা থেকে বেড়ে এবার হয়েছে ২৬ পয়সা।
ওয়াটা কেমিক্যাল:
বিশাল উন্নতি করে ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৭.৬১ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৬.১২ টাকা।
যেসব কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো কমেছে:
একমি পেস্টিসাইডস:
চলতি প্রান্তিকে মাইনাস ৫৯ পয়সা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৫ পয়সা।
এসিআই:
ক্যাশ ফ্লো আরও খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৮৩.১১ টাকা, আগের বছর ছিল মাইনাস ৫১.০৩ টাকা।
এসিআই ফরমুলেশন:
এ বছর ক্যাশ ফ্লো ৩.৫৩ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৮.৬৫ টাকা।
এডভেন্ট ফার্মা:
চলতি সময়ে ক্যাশ ফ্লো ৮৯ পয়সা, আগের বছর ছিল ১.৭৪ টাকা।
এমবি ফার্মা:
এবার ক্যাশ ফ্লো মাইনাস ৫.৬৯ টাকা, আগের বছর ছিল মাইনাস ১২.২১ টাকা।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ:
চলতি প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো ১.৭৩ টাকা, আগের বছর ছিল ২.০৬ টাকা।
বেক্সিমকো ফার্মা:
এবার ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৬.১৩ টাকা, আগের বছর ছিল ১০.০১ টাকা।
ফার কেমিক্যাল:
মাইনাস ১.৫৮ টাকা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে, আগের বছর ছিল ১০ পয়সা।
গ্লোবাল হেভিকেমিক্যাল:
চলতি সময়ে ক্যাশ ফ্লো কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ পয়সায়, আগের বছর ছিল ২.৮৭ টাকা।
ইন্দোবাংলা ফার্মা:
এবার ক্যাশ ফ্লো ২ পয়সা, আগের বছর ছিল ১৯ পয়সা।
জেএমআই হসপিটাল:
চলতি সময়ে ক্যাশ ফ্লো ৭৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১.৮২ টাকা।
জেএমআই সিরিঞ্জ:
এবার ২.৬৭ টাকা, আগের বছর ছিল ৩.৩৮ টাকা।
ফার্মা এইডস:
ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫.৫৮ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১২.৮১ টাকা।
ওরিয়ন ইনফিউশন:
এই প্রান্তিকে ৭৫ পয়সা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে, আগের বছর ছিল ৩.৪৫ টাকা।
স্কয়ার ফার্মা:
এবার ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১১.৯৯ টাকা, আগের বছর ছিল ১৭.৩২ টাকা।
টেকনো ড্রাগস:
চলতি সময়ে ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ২.৯৪ টাকা।
ফার্মা ও কেমিক্যাল খাতে চলতি প্রান্তিকে বেশ কিছু কোম্পানির শক্তিশালী ক্যাশ ফ্লো প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক বার্তা দিলেও বৃহৎ কোম্পানিগুলোর পিছিয়ে পড়া সামগ্রিক খাতের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিভিত্তিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ জরুরি হয়ে উঠছে।