facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ জুলাই শনিবার, ২০২৪

Walton

বাণিজ্য মেলায় স্টল পেতে এবার দ্বিগুণ আবেদন


২২ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার, ০৫:২৪  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


বাণিজ্য মেলায় স্টল পেতে এবার দ্বিগুণ আবেদন

২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল নিতে গত আসরের চেয়ে এবার ব্যবসায়ীদের আবেদন এসেছে দ্বিগুণেরও বেশি। এর অন্যতম কারণ পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০তম বাণিজ্য মেলায় পণ্য বিক্রি হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। অথচ ২১তম আসরে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে বিক্রি হয়, যার পরিমাণ প্রায় ১২১ কোটি টাকা। এছাড়া আগের আসরে ৯৫ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ এলেও ২১তম আসরে রপ্তানি আদেশ আসে ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার।

এবারের ২২তম আয়োজনের জন্য ইপিবি ইতিমধ্যে তাদের নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। গত মেলার লে-আউট প্ল্যান দেওয়া হয়েছিল ৫৬৮টি, কিন্তু চূড়ান্ত স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫৬৫টি। গত বছর যত স্টলের লে-আউট প্ল্যান দেওয়া হয়েছিল, প্রায় সমসংখ্যক আবেদন এসেছিল। কিন্তু এবারের বাণিজ্য মেলায় স্টল বরাদ্দ নিতে মোট আবেদন পড়েছে এক হাজার ২৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সাধারণ স্টলের জন্য। এবার সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান দেওয়া হয়েছে ২৫৩টি। কিন্তু এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭১৭টি। অথচ গত বছর সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান ছিল ২৮৭টি, আর চূড়ান্ত বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৮৬টি। এবার ফুড স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যানে মোট স্টল রাখা হয়েছে ২৪টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৫টি।

এ বিষয়ে ইপিবির উপপরিচালক ও ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সদস্যসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘এবার নিয়ে টানা তিনবার আমি বাণিজ্য মেলার সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছি। সুতরাং মেলার সার্বিক বিষয় সব কিছুই আমাকে নজরে রাখতে হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। এ কারণে সেই বছর বাণিজ্য মেলায় ভালো ব্যবসা করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব ২০১৫ সালের আসরেও ছিল। তবে চলতি বছরের (২০১৬) জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ২১তম বাণিজ্য মেলায় যে বাণিজ্য হয়েছে তা অতীতের যেকোনো মেলার চেয়ে ভালো। গত বছরের ভালো সফলতা পাওয়ায় এবারের মেলায় অংশ নিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ অনেক বেশি। এ জন্য এবার অবেদন পড়েছে বেশি।’

মেলা সফল করতে একদিকে যেমন রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলানগরের মেলা প্রাঙ্গণে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে, তেমনি ইপিবি কার্যালয়ে চলছে মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম চূড়ান্ত করাসহ অন্যান্য কাজ। এখন আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আগামী ১ ডিসেম্বর ইপিবি কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে কারা মেলায় স্টল পাবে। এরপর আগামী ১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আবারও লটারি করে বরাদ্দকৃত স্টল নম্বরসহ চূড়ান্ত করা হবে।

বাণিজ্য মেলার সদস্যসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করীম আরো বলেন, মেলার মাঠ প্রস্তুত করার জন্য ১ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এখন পিডাব্লিউডি, পিডিবিসহ অন্যান্য সংস্থা তাদের কাজ শুরু করেছে। মেলার মাঠে কোথায় কোন স্টল হবে সেগুলোও এখন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী বছরের ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: