ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

কিয়ামত পর্যন্ত রুহ থাকবে যেখানে

ধর্ম

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৩ নভেম্বর ২০১৬

কিয়ামত পর্যন্ত রুহ থাকবে যেখানে

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ৫৫) আল্লাহ তাআলা সব মানুষের রুহকে সৃষ্টি করে ‘আলমে আরওয়াহ’তে রেখেছেন। সেখান থেকে সময়ের ব্যবধানে পর্যায়ক্রমে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

মানুষ তার নির্দিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার পর মৃত্যুর মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত আলমে বরজাখ তথা অন্তর্বর্তীকালীন জীবন বা কবরের জীবনে অবস্থান করবে।

কিয়ামতের পর হাশরের ময়দানে মানুষের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সেদিন বিচার পরিচালনা করবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। হাশরের ময়দানের ফয়সালা অনুযায়ী মানুষের চিরস্থায়ী আবাস নির্ধারিত হবে। নেক্কার বান্দারা যাবেন চিরস্থায়ী সুখের আবাস জান্নাতে আর গোনাহগাররা যাবে ভয়াবহ জাহান্নামে।

মৃত্যুর পর কবরের জিন্দেগির অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মানুষের দেহগুলো কবরে রাখা হলেও তাদের রুহগুলোর অবস্থানের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য হবে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ‘ইসলামি ফিকহ’ গ্রন্থের লেখক মুহাম্মদ ইবরাহিম আত্তুওয়াইজিরি স্বীয় গ্রন্থে এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেছেন। যা তুলে ধরা হলো-

>> মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে কিছু রুহ ‘ইল্লিন’ তথা সর্বোচ্চ মালাইল আ’লাতে অবস্থান করবে। আর তা হলো সন্মানিত নবি-রাসুল (আলাইহিস সালাম) গণের রুহসমূহ। নবি-রাসুলদের রুহের অবস্থানও তাঁদের মর্যাদা অনুযায়ী ব্যবধান থাকবে।
>> আর কিছু রুহ পাখির আকৃতিতে জান্নাতের গাছে ঝুলে থাকবে। এগুলো হলো মুমিনদের রুহসমূহ।
>> আবার কিছু রুহ সবুজ পাখির উদরে (পেটে) থাকবে; যে পাখিগুলো জান্নাতে বিচরণ করবে। এগুলো হলো শহীদদের রুহ।
>> আর কিছু রুহ কবরেই আটকা থাকবে। যেমন- গনিমতের মাল তথা যুদ্ধলদ্ধ সম্পদসহ আমানতের খিয়ানতকারী ব্যক্তিদের রুহ।
>> আবার কিছু রুহ জান্নাতের দরজার উপর আটকা থাকবে। যেমন- ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের রুহ।
>> আরো কিছু রুহও পৃথিবীতেই অবস্থান করবে; কারণ তাদের রুহ হলো নিচু মানের রুহ।
>> আর কিছু রুহ ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীদের আজাবের চুলায় অবস্থান করবে।
>> আবার কিছু রুহ রক্তের নদীতে সাঁতার কাটতে থাকবে এবং তাদের মুখের ভিতর পাথর নিক্ষেপ করা হবে। এরা হলো ওই সব লোক যারা দুনিয়াতে সুদ গ্রহণ করতো।

পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। অন্যায় পরিহার করার তাওফিক দান করুন। মৃত্যুর পর কবরের জিন্দেগিতে উত্তম স্থানে অবস্থান করার তাওফিক দান করুন। হাশরের দিন ডান হাতে আমলনামা লাভ করে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ার বিজনেস24.কম