ঢাকা   রোববার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২

সূচকের সামান্য পতনেও ইতিবাচক ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

সূচকের সামান্য পতনেও ইতিবাচক ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ

সূচকের সামান্য পতনের মধ্য দিয়ে রোববার (২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরু হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। দিনের শুরুতে বাজারে ছিল ইতিবাচক প্রবণতা এবং সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচকে অস্থির ওঠানামা লক্ষ্য করা যায়। দুপুর ২টা ১৯ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৪৪ পয়েন্টে উঠলেও দিনশেষে তা টেকেনি। লেনদেন শেষে সূচক প্রায় ৪ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়।

যদিও দিন শেষে সূচক ও মোট লেনদেনের অংকে কিছুটা কমতি দেখা গেছে, তবে বাজারের ভেতরের চিত্র পুরোপুরি নেতিবাচক নয়। এদিন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীরা আগামী দিনের জন্য ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সূচক সামান্য কমলেও বাজারের ব্রেডথ শক্ত থাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, এনসিপির তরুণ নেতা শরীফ উসমান বিন হাদির মৃত্যু ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাশাপাশি আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বাজারে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে সতর্কভাবে লেনদেনে অংশ নিয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে বাজারের সামগ্রিক গতিতে।

দিনশেষে বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪.৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮২৬.৪৭ পয়েন্টে। অন্যদিকে ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) কমেছে ১.৭১ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৯৯৯.০৯ পয়েন্টে। আর ভালো পারফরম্যান্স করা ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬.২৬ পয়েন্ট, নেমে এসেছে ১ হাজার ৮৫৩.৫৯ পয়েন্টে

লেনদেন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬১টির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৫৭টির দর কমেছে এবং ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে একদিনে লেনদেন কমেছে প্রায় ৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫টির দর বেড়েছে, ৯৪টির দর কমেছে এবং ১৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩.২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৬১.১৪ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসে এই সূচক কমেছিল ৭৫.৬২ পয়েন্ট, যা তুলনামূলকভাবে কম পতনের ইঙ্গিত দেয়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্বল্পমেয়াদি অনিশ্চয়তা থাকলেও দর বৃদ্ধির সংখ্যা বেশি হওয়া এবং নির্বাচিত শেয়ারে আগ্রহ বাড়া ইঙ্গিত দিচ্ছে—আগামী দিনে শেয়ারবাজারে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে