শেয়ারবাজারের সংকট মোকাবিলায় ছয়টি ব্রোকারহাউজ ও একটি মার্চেন্ট ব্যাংককে নিট সম্পদের শর্ত পরিপালনে সাময়িক ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৮৮তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
এই বিশেষ সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, সিনথিয়া সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, ইমিনেন্ট সিকিউরিটিজ, মেঘনা লাইফ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিডিবিএল সিকিউরিটিজ এবং এসআইএম ক্যাপিটাল লিমিটেড। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর নেগেটিভ ইক্যুইটি ও আনরিয়ালাইজড লোকসানের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ ও সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, মূলত তারই ধারাবাহিকতায় এই শিথিলতা দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, নির্ধারিত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বর্ধিত সময়কালে নেগেটিভ ইক্যুইটি ও আনরিয়ালাইজড লোকসানের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ পাবে। এ সময় স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের জন্য নিট সম্পদের ঘাটতি সংক্রান্ত বিধিবিধান সাময়িকভাবে শিথিল থাকবে, যা তাদের আর্থিক চাপ কিছুটা লাঘব করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে কমিশন বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার এখনো তাদের পর্ষদ অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা (অ্যাকশন প্ল্যান) কমিশনে দাখিল করেনি, তাদেরকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা জমা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনো ছাড় ছাড়াই পূর্ণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে বলে সতর্ক করেছে বিএসইসি।
