গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন দেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, চলতি সপ্তাহের শুরুটা হবে ইতিবাচক। তবে সেই আশার প্রতিফলন দেখা যায়নি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (১৪ ডিসেম্বর)। দিনের শুরুতে লেনদেন কিছুটা ইতিবাচক থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজারে হতাশার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সূচকের পতন সত্ত্বেও অনেক বিনিয়োগকারী মনে করছেন, এটি স্বল্পমেয়াদি সংশোধন হতে পারে এবং সামনের দিনগুলোতে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের মতে, বর্তমান দরপতন বাজার পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি নাকচ করে না।
বাজার সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, আজকের পরিস্থিতিকে অতিরিক্ত নেতিবাচকভাবে দেখার কারণ নেই। অনেক সময় প্রত্যাশার বিপরীতে বাজার আচরণ করে থাকে। তবে মৌলভিত্তি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী দিনে বাজারে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা আশাবাদী। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩২ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৮ দশমিক ০১ পয়েন্টে এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএসই-৩০ কমেছে ১১ দশমিক ৮০ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯১ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ২৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা কম।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের দিনের তুলনায় কম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৪৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসে এই সূচক কিছুটা বেড়েছিল।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান অস্থিরতার মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের জন্য ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়াই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
























