ঢাকা   রোববার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

১৪ বছর পর আরপিও তহবিলের পুরো অর্থ ব্যয় করল বিএসসি

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

১৪ বছর পর আরপিও তহবিলের পুরো অর্থ ব্যয় করল বিএসসি

প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পর শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহ করা আরপিও তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। ২০১১ সালে রিপিট পাবলিক অফার (আরপিও) ছাড়ার মাধ্যমে বিএসসি ৩১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ধাপে ধাপে ব্যয়ের পর ২০২৫ সালের অক্টোবরে এসে পুরো আরপিও তহবিলের ব্যবহার সম্পন্ন হয়েছে।

এই সময়কালে আরপিও থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে আমানত হিসেবে রেখে উল্লেখযোগ্য অঙ্কের সুদ আয় করেছে সংস্থাটি। বিএসসি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ৬ থেকে ১০ শতাংশ সুদহারে আমানত রেখে প্রায় ২৩৪ কোটি টাকারও বেশি সুদ আয় হয়েছে, যা মূলত জাহাজ পরিচালনা সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহে ব্যবহার করা হয়েছে।

আরপিও তহবিল ব্যয়সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগৃহীত ৩১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার মধ্যে ২৯ কোটি ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ টাকা অব্যবহৃত ছিল। পরবর্তীতে অক্টোবরে এসে অবশিষ্ট অর্থসহ পুরো তহবিল ব্যয় সম্পন্ন করা হয়।

খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিবরণ অনুযায়ী, ছয়টি জাহাজ ক্রয় প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ২৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ২৩ টাকা। এছাড়া ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং আরপিও ইস্যু সংক্রান্ত খরচ বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৭৭ টাকা। একই সময়ে ব্যাংকে আমানত রেখে সুদ বাবদ অর্জিত হয়েছে ২৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ২১ হাজার ৫০ টাকা।

কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী আরপিও থেকে সংগৃহীত অর্থ মূলধনি খাতে ব্যয় বাধ্যতামূলক হলেও সুদ থেকে অর্জিত অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা যাবে—সে বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে সুদ আয়ের অর্থ জাহাজ পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিএসসির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। একই সঙ্গে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১০৪ টাকা ৮৪ পয়সা।

ঘোষিত ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের সম্মতি নিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর বিএসসির বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে।