জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড নরসিংদীর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব স্থায়ী (নন-কারেন্ট) সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ডের (বিআরইবি) সঙ্গে কেন্দ্রটির ১৫ বছরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি নবায়নে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় ডরিন পাওয়ার।
এর আগেও বিপিডিবি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নবায়ন না করায় টাঙ্গাইল ও ফেনীর ২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্লান্টের সম্পদ বিক্রি করে কোম্পানিটি।
আর্থিক পারফরম্যান্স
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের সময় ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২৪ পয়সা।
সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ডরিন পাওয়ার ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। ওই সময় ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১৯ পয়সা, আগের বছর ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। এরও আগের দুই অর্থবছরে যথাক্রমে ১০% ও ১১% ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানির বর্তমান অবস্থা
২০০৮ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনযাত্রা শুরু করা ডরিন পাওয়ার ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
মোট ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০১ শেয়ারের মধ্যে—
-
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৬৬.৬১%
-
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী: ১৯.৪৩%
-
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ১৩.৯৬%
বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির ধারাবাহিকতা ব্যবসায়িক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
























