শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কৃত্রিম কারসাজির দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত ও শুনানির পর বিএসইসি দেখেছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করেছে, যা শেয়ারবাজারের নিয়মের সরাসরি লঙ্ঘন।
কারসাজির সময়কাল ছিল ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে, যখন আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দাম ৭৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৩৬ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে শেয়ারের দাম কমে ৪৬ টাকায় নেমে এসেছে।
বিএসইসি’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফারুক এন্টারপ্রাইজ, রাইয়ান ট্রেডিং এবং ইসলাম এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে ‘সার্কুলার ট্রেডিং’ করে বাজারে কৃত্রিম সংকেত সৃষ্টি করেছে। ফারুক এন্টারপ্রাইজকে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, রাইয়ান ট্রেডিংকে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং ইসলাম এন্টারপ্রাইজকে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুনানিতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের লেনদেন বৈধ কৌশল ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছিল এবং তারা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করেনি। তবে বিএসইসি মনে করছে, এই কারসাজিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বর্তমানে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের ৩০.২৪% স্পন্সর ও পরিচালকদের, ১০.১৪% প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবং ৫৯.৬২% সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে। এই ঘটনা শেয়ারবাজারে শিক্ষণীয় সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
























