গত সপ্তাহে বাজারে যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন চলতি সপ্তাহে সূচক আরও শক্তিশালী হবে। কিন্তু সপ্তাহের শুরুতেই সেই আশা ভেঙে গেছে টানা দুই দিনের সূচক পতনের ধাক্কায়। মাত্র দুই দিনে মুখ্য সূচক কমেছে প্রায় ১১০ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে ১০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার বেশি।
বাজার বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৪.০৪ পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৯১৪.৭২ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে, ডিএসইএস ১৬.৪০ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১,০২৮.৮৯ পয়েন্ট, আর ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৩২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৯৫.৬৯ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৩৮৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে মাত্র ৩৮টির দর বেড়েছে, ৩২২টির দর কমেছে এবং ২৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৪৯২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা কম।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)–তে আজ লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকায়, যেখানে আগেরদিনের লেনদেন ছিল ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেন করা ১৮২টি কোম্পানির মধ্যে ৪০টির দর বেড়েছে, ১৩১টির দর কমেছে এবং ১১টির দর অপরিবর্তিত। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১২৩.৬৫ পয়েন্ট এবং নেমে এসেছে ১৩,৮৫২.৭৩ পয়েন্টে।
দুটি প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জে টানা সূচক পতনের এই পরিস্থিতি বাজারে হতাশা সৃষ্টি করলেও, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ধরে রাখার প্রবণতা বজায় রেখেছেন, ফলে বিক্রি সীমিত হওয়ায় লেনদেনের টাকার পরিমাণও কম থাকে।
