টানা দুই কার্যদিবসের জোরালো উত্থানের পর আবারও থমকে গেল শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শুরুতে সূচকের শক্তিশালী অগ্রযাত্রা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি করলেও মঙ্গলবারের মতো বুধবারও সেই গতি আর ধরে রাখা যায়নি। দিনের প্রথমভাগে সূচকে ইতিবাচক ধারা থাকলেও শেষ দিকে বাড়তে থাকা বিক্রির চাপ বাজারকে নিচের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ৮ পয়েন্ট কমে প্রায় ৫,০১০ পয়েন্টে স্থির হয়।
লঙ্কাবাংলা অ্যানালাইসিস পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, সূচকের এই পতনের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে মোট ছয়টি কোম্পানি—ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ালটন হাইটেক, ব্র্যাক ব্যাংক, বিএটিবিসি, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইউসিবি। এই ছয় কোম্পানি মিলে সূচক থেকে কমিয়েছে প্রায় ১০ পয়েন্ট।
কোন কোম্পানি কতটা সূচক কমিয়েছে
ন্যাশনাল ব্যাংক–এর প্রভাব সর্বাধিক। একাই সূচক কমিয়েছে প্রায় ৩ পয়েন্ট। ব্যাংকটির শেয়ারদর ১০ পয়সা বা ২.৭৮% কমে দাঁড়ায় ৩.৩০ টাকায়। লেনদেন হয়েছে ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন হাইটেক সূচক থেকে কমিয়েছে প্রায় ২ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ০.৯৬% কমে দাঁড়ায় ৩৮০ টাকা। লেনদেন হয়েছে ৮৬ লাখ ৫ হাজার টাকার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকও সূচক থেকে কমিয়েছে প্রায় ২ পয়েন্ট। শেয়ারদর ৪০ পয়সা বা ০.৬১% কমে দাঁড়ায় ৬৫.৫০ টাকা। উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার টাকার।
অন্যান্য তিন কোম্পানির অবদান
-
বিএটিবিসি – সূচক কমিয়েছে ১ পয়েন্টের বেশি
-
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক – কমিয়েছে প্রায় ১ পয়েন্ট
-
ইউসিবি – সূচক কমিয়েছে ১ পয়েন্টের সমপরিমাণ
সব মিলিয়ে, এই ৬ কোম্পানির নেতিবাচক প্রভাবেই ডিএসইর সূচকের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা গ্রহণের প্রবণতা এবং বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে চাপই সূচকের দুর্বলতার প্রধান কারণ।
























