
টানা অনিশ্চয়তার মধ্যেও সপ্তাহের শেষভাগে শেয়ারবাজারে দেখা গেছে আশাব্যঞ্জক গতি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও বাজারমূলধন উভয়ই বেড়ে বিনিয়োগকারীদের মনে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিক লেনদেনের নিম্নগতি এবং খাতভিত্তিক অস্থিরতা এখনো বাজারকে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে দিচ্ছে না।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ হাজার ১১৯ পয়েন্ট থেকে বেড়ে সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৪৯ পয়েন্টে—অর্থাৎ সূচক বেড়েছে ৩০ পয়েন্ট। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক বেড়েছে, আর দুই দিন কমেছে।
একই সময়ে বাজারমূলধনেও দেখা গেছে উন্নতি। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর মোট বাজারমূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, যা সপ্তাহ শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে বাজারমূলধন বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, সপ্তাহশেষে লেনদেনেও ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। বুধবারের ৩৫৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিপরীতে বৃহস্পতিবার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, শেষ দুই কর্মদিবসের এই লেনদেন বৃদ্ধিই বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে তারা মনে করেন, এই ইতিবাচক ধারা টিকিয়ে রাখতে দরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও খাতভিত্তিক স্থিতিশীলতা।