
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের অন্যতম কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পদে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগে কোম্পানিটি ইসি হোল্ডিংস লিমিটেডের (ইসিএইচএল) সাথে যৌথভাবে একটি বাণিজ্যিক জমি ক্রয় করবে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই বড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে, যা একটি মূল্যসংবেদনশীল তথ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
গুলশান এভিনিউয়ে বাণিজ্যিক জমিটি কিনতে প্রতিষ্ঠান দুটি মোট ২১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে। এর মধ্যে এমজেএল বাংলাদেশ মোট বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ ১০৭ কোটি ১০ লাখ টাকা দেবে। বাকি ৫০ শতাংশ বিনিয়োগ করবে ইসি হোল্ডিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এই বিশাল অংকের বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে।
এমজেএল বাংলাদেশ মূলত ইস্টকোস্ট গ্রুপ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগ। তারা শিল্প ও যানবাহনে ব্যবহৃত লুব্রিক্যান্টস, অয়েল ও গ্রিজ সরবরাহ করে এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলপিজি ও সিলিন্ডারের ব্যবসাও পরিচালনা করে।
কোম্পানির সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪ থেক মার্চ’২৫) এমজেএল বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের অর্থবছর-এর একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৮৫ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের ৫২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচ্য অর্থবছর-এর ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭১ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ৪৮ টাকা ৩ পয়সা। সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছর-এ এমজেএল বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হয়েছিল। সেই বছর ইপিএস ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের বছরে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৭ পয়সায়।