
শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে বড় শাস্তির মুখে পড়েছে দুই কোম্পানি। সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর অভিযোগে তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৯ সদস্যকে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড-কেও বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিএসইসি’র ৯৭৩তম কমিশন সভার পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএসইসি জানায়, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সোনালী পেপারের শেয়ার লেনদেনে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তে উঠে আসে, এই অনিয়মের সঙ্গে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজন সদস্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
এই কারসাজির জন্য জেনেক্স ইনফোসিসের ৯ পরিচালককে প্রত্যেককে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা করে মোট ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার শিকার পরিচালকরা হলেন: টি.আই.এম নুরুল কবির (চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক), প্রিন্স মজুমদার (ভাইস চেয়ারম্যান), শাহ জালাল উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও), চৌধুরী ফজলে ইমাম (পরিচালক), হাসান শহিদ সরওয়ার (ওরাকল সার্ভিস লিমিটেডের মনোনীত পরিচালক), মোহাম্মদ আদনান ইমাম (পরিচালক), নিলোফার ইমাম (পরিচালক), রোকেয়া ইসলাম (স্বতন্ত্র পরিচালক), এবং জাহরুল সাঈদ বখত (স্বতন্ত্র পরিচালক)। একই ঘটনায় জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএসইসি'র এই কঠোর অবস্থান শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াচ্ছে। তবে তারা বলছেন, এখনো কিছু প্রভাবশালী কারসাজিকারী সক্রিয় রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বাজারে কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে এবং অস্বাভাবিক লেনদেন শনাক্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে না পড়েন।