টানা দুই কর্মদিবসে বড় উত্থান দেখার পর আজ সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা সংশোধন হয়েছে। তবে এই সামান্য পতনকে সামাল দিয়েছে কিছু বড় মূলধনি কোম্পানির দৃঢ় অবস্থান, যা বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা থাকলেও এই চার কোম্পানির সুদৃঢ় পারফরম্যান্স নিশ্চিত করেছে যে, বাজারের ভিত্তি এখনো শক্ত, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দিনের শেষে ১১৯টির দাম বেড়েছে, ২৪৪টির কমেছে এবং ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন সূচক কিছুটা কমলেও মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা প্রমাণ করে যে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
আজকের পতনের স্রোত থামানোর ক্ষেত্রে চারটি কোম্পানি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তাদের সম্মিলিত ইতিবাচক প্রভাবে সূচকের বড় ধরনের পতন ঠেকেছে। এর মধ্যে ওয়ালটন হাইটেক সূচকে সর্বোচ্চ ৬.৯২ পয়েন্ট যোগ করে পতনকে রুখে দিয়েছে। অন্যদিকে, ব্র্যাক ব্যাংক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৮২ পয়েন্ট যোগ করে বাজারের স্থিতিশীলতায় বড় অবদান রেখেছে। এই দুই কোম্পানির পাশাপাশি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস ১.৮৪ পয়েন্ট এবং স্কয়ার ফার্মা ১.৫৩ পয়েন্ট যোগ করে বাজারের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে সহায়তা করেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চারটি কোম্পানির অবদান বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মতে, ওয়ালটন হাইটেক ও ব্র্যাক ব্যাংকের মতো শক্তিশালী কোম্পানির পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে যে, বাজারের মূল ভিত্তি এখনো মজবুত। এটি সেসব বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা, যারা সাম্প্রতিক বাজারের অস্থিরতায় ভীত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পতনকালে বাজারের ভারসাম্য ধরে রাখার জন্য এমন নির্ভরযোগ্য কোম্পানি থাকা জরুরি, এবং আজকের এই ঘটনা ভবিষ্যতে বাজারের আরও টেকসই প্রবৃদ্ধির পথ খুলে দেবে।
