
দেশের শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের টানা চার কার্যদিবসে প্রধান সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি করেছে। তাই ধারাবাহিক উত্থানে লোকসান কাটিয়ে আবারও মুনাফার প্রত্যাশায় সক্রিয় হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত রবিবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে লেনদেন বন্ধ থাকায় সপ্তাহটিতে মাত্র চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে। তবে এই চার দিনেই সূচকের টানা উত্থান বাজারে ইতিবাচক ধারার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (১০ জুলাই) তা ১৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৮ পয়েন্টে।
বাজারে সূচক বৃদ্ধির ধারা সপ্তাহের শেষ দিনেও অব্যাহত ছিল। আজ সূচকের স্বাভাবিক উঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন চললেও শেষ পর্যন্ত সূচক বেড়ে দিন শেষ করে। কিন্তু সূচকের উত্থান সত্ত্বেও এদিন ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে, যা কিছুটা সতর্কতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-তেও একই চিত্র লক্ষ্য ছিল। সূচক বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কম ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ (১০ জুলাই) সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৮.০৩ পয়েন্টে। আজ অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ৬.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০.৯৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৪.৪১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০৮.৬২ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৯৬টির দর বেড়েছে, ১২৮টির দর কমেছে এবং ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে আজ মোট ৬৭৯ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল ০৯ জুলাই লেনদেন হয়েছিল ৬৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকার। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সিএসইতে ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ৭৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩২টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে। আগেরদিন সূচক সিএএসপিআই ৮১.৬৫ পয়েন্ট বেড়েছিল।