
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের ১৫টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে মে মাসে বিনিয়োগ তথ্য হালনাগাদ প্রকাশ করছে ১৪টি কোম্পানি। হালনাগাদ অনুযায়ী আলোচ্য মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৯টি কোম্পানির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টি কোম্পানির এবং কমেছে ১ টির। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল ফিড মিল, আমান ফিড, আরামিট লিমিটেড, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট, হামি ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
ন্যাশনাল ফিড মিল
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলের। এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৬.১৪ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৭৮ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৬৩.৩৫ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৬২.৭১ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০.৪০ শতাংশ এবং বিদেশি উদ্যোক্তাদের শেয়ার ০.১১ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
আমান ফিড
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.৪৮ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৫০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৪.২১ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ২৪.১৯ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৬৩.২৬ শতাংশ এবং বিদেশি উদ্যোক্তাদের শেয়ার ০.০৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরামিট লিমিটেড
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৩.০৭ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.১০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪২৬.২০ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ২৬.১৭ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৬০.৭৩ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩২.৫০ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৫২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৩.৪৫ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৪৩ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩৩.১১ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বিদেশি উদ্যোক্তাদের শেয়ার ০.৯৪ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
হামি ইন্ডাস্ট্রিজ
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.২০ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩৫ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৫৭.১০ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৯৫ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩২.৫২ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বিদেশি উদ্যোক্তাদের শেয়ার ১.১৮ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২.৩৯ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৯৩ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৬০.১৪ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬০ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩৭.৪৭ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৭৫ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.০৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৬৩.৬৪ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩.৩৫ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০.৬১ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৬.০৫ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.০৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪২.৭২ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৪২.৬৮ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩১.২৩ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি
এপ্রিল’৩০ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.১৭ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.১৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩২.৮৩ শতাংশ, যা মে’৩১ মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২.৮১ শতাংশে। তবে আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ২.০০ শতাংশ এবং সরকারি পরিচালকদের শেয়ারও ৫১.০০ অপরিবর্তিত রয়েছে।