
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া, রাখাইনে করিডোর বা ত্রাণ চ্যানেল তৈরি–এমন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী ২৭ ও ২৮ জুন এ কর্মসূচি পালন করবে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন।
বুধবার (২৫ জুন) নগরের চেরাগী পাহাড়ে বৈঠকখানা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুচ্ছাফা ভূঁইয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির প্রাণকেন্দ্র। অথচ বর্তমান সরকার বিশ্বব্যাংক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির চাপে পড়ে এনসিটি টার্মিনালকে আরব আমিরাতভিত্তিক কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এটি শুধুমাত্র একটি বিনিয়োগ নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত।’
নূরুচ্ছাফা ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরের হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ছিল ১০ লাখ টিইইউস, অথচ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ লাখ ৮১ হাজার টিইইউস। এ থেকেই বোঝা যায় বন্দরের আধুনিকতা ও সক্ষমতা। এই সফলতা সত্ত্বেও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা অনৈতিক ও আত্মঘাতী। ডিপি ওয়ার্ল্ড যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি চুক্তিতে আবদ্ধ, যার মাধ্যমে তাদের পরিচালিত বন্দরে মার্কিন নৌবাহিনী প্রবেশাধিকার পেতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দুই দিনের এ রোডমার্চের শেষ দিনে (২৮ জুন) চট্টগ্রামে বিশাল পদযাত্রা ও সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ৩টায় বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় বন্দর ভবন চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক অশোক সাহা, মার্ক্সবাদী বাসদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বাসদের ইনচার্জ আল কাদেরি জয়, গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা রাজা মিয়া এবং সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা শাহিন মঞ্জুর।
এ সময় বক্তারা কর্মসূচি সফল করতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক নাগরিক, প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।