ঢাকা   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্তের মুখে আরএসআরএম, বিএসইসির তিন সদস্যের কমিটি গঠন

অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্তের মুখে আরএসআরএম, বিএসইসির তিন সদস্যের কমিটি গঠন

দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকা চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রতনপুর স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (আরএসআরএম)-এর বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও ঋণ খেলাপির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংকট, তারল্য ঘাটতি এবং কাঁচামালের অভাবকে উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে দেখালেও বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-র নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিএসইসি’র মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পক্ষ থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. শাহনোজ, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক ফারহানা ওয়ালেজা। কমিটিকে কোম্পানির অফিস, কারখানা, আর্থিক হিসাবসহ সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে ২০২২ সালের পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে আইন লঙ্ঘন, ২০২১ সালের ৩০ জুনের পর আর্থিক প্রতিবেদন না দেওয়া, কোম্পানির অর্থপাচার মামলা এবং ঋণ ও মূলধন ব্যবহারে অনিয়মসহ নানা বিষয়ে পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও পর্ষদ সদস্যদের সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হবে। ২০২১ সালের পরবর্তী আর্থিক বিবরণী, রাজস্ব, মুনাফা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), ইনভেন্টরি, নগদ অর্থ, দায়দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান চালাবে তদন্ত কমিটি।

উল্লেখ্য, আরএসআরএম ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং ২০২০ সালের শেষ দিকে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি এবং কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ডিভিডেন্ডও দেয়নি। স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পর কোম্পানির কোনো হালনাগাদ তথ্যও পাওয়া যায়নি। কোম্পানিটি বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে এবং এর মোট পরিশোধিত মূলধন ১০১ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।