ঢাকা   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় পতন

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় পতন

ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রযুক্তি বিরোধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ব্যাপকভাবে কমেছে, যা মার্কিন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২১ জুন) ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ০.১ শতাংশ সামান্য বেড়ে গেলেও, প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ০.২ শতাংশ কমে ৫,৯৬৭ পয়েন্টে নেমেছে এবং প্রযুক্তি খাতের সূচক নাসডাক কম্পোজিট ০.৫ শতাংশ পতনে ১৯,৪৪৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিক্রির চাপ বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের চীনে প্রযুক্তি রপ্তানিতে সম্ভাব্য নতুন শর্তাবলীর কারণে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ‘ডি-রিস্কিং’ অর্থাৎ ঝুঁকি কমানোর প্রবণতা দেখা গেছে, ফলে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছেন।

৫০ পার্ক ইনভেস্টমেন্টসের বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম সারহান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা এবং মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসকে নাড়া দিয়েছে।

অন্যদিকে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও, শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা রয়েই গেছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোও অনেক বেশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যদিও ক্রোগার এবং কারম্যাক্সের মতো কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে তা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে এবং আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত থাকতে পারে।