
তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড–এর ২০২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম ও অসংগতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইতোমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ৬০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম জানিয়েছেন, গত ১৭ মে গঠিত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, উপপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ এবং ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার বদরুল ইসলাম। তারা আর্থিক প্রতিবেদন ছাড়াও কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম, সম্পদ ও দায়, নগদপ্রবাহ, এবং আন্তর্জাতিক হিসাব মানের (IAS, IFRS, ISA) সঙ্গে সামঞ্জস্যতা খতিয়ে দেখবেন।
এছাড়া প্ল্যান্ট, মেশিনারি, ভূমি ও ভবনসহ প্রকৃত সম্পদ যাচাই এবং মালিকানা যাচাইও তদন্তের অংশ। উল্লেখ্য, টানা দুই বছর কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি কোম্পানিটি; সর্বশেষ ২০২২ সালে মাত্র ০.৫০% অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৩ পয়সা।
ফু-ওয়াং ফুডসের বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুনের বিরুদ্ধে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে।
২০১৭ সালে এমারেল্ড অয়েল অধিগ্রহণ এবং ২০২২ সালে মিনোরি বাংলাদেশ ৭.৬১% শেয়ার কেনার পরেও কোম্পানিটি আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। উপরন্তু বিএসইসির ৩০% শেয়ার ধারণের নিয়মও মানেনি নতুন মালিকপক্ষ।
২০০০ সালে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং ফুডস বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার হিসেবে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, মোট শেয়ার ১১ কোটি ৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে মাত্র ৭.৮৫%, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৮২.৫৭% শেয়ার।